বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেয়নি, আমরা ক্ষমতায় গেলে বেকারদের চাকরি দেবো। কর্মসংস্থান করবো, না পারলে বেকার ভাতা দেবো। শিল্প কারখানা করবো, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করবো। ধর্মীয় কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এদেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ, কারো উপর হাত দেবেন না।শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিন। ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই। আপনি ন্যায়ের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের জন্য ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন। মানুষ একবারই মরে, বীরের মৃত্যু নেই।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকো এবং একতাবদ্ধ হয়ে জাতিকে মুক্ত করো তাহলেই আমার মুখে হাসি ফুটবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ তারিখ রায় দেওয়ার সময় আলোর দিকে থাকবেন নাকি অন্ধকারে থাকবেন, মুক্তির পথে থাকবেন নাকি পরাধীনতার পথে থাকবেন সেটা ভাবতে হবে।বিএনপির ১৬ জন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তফসিল ঘোষণার পর হামলা-মামলা গ্রেফতার করা হবে না কিন্তু হচ্ছে। তাহলে কি তাকে সত্যবাদী বলা যায়? তিনি বলেন, সিইসি বলেছেন নির্বাচনের সুবাতাস বইছে, লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলতে আছে তারা হেলিকপ্টার পতাকা লাগিয়ে প্রচারণা করছে আর আমরা অনুমতি নিয়েও সমাবেশের একটি মঞ্চ বানাতে পারি না। আমাদের পোস্টার লাগাতে দেয় না, প্রচারণা করতে দেয় না। তবুও ৩০ তারিখ আমরা মুক্তির জন্য এই নির্বাচন করবো।
নির্বাচন কমিশনকে ঠুটো জগন্নাথ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হয় ক্ষমতা প্রয়োগ করুন, না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান, ২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, ৪ আসনের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী, ৫ আসনের প্রার্থী এস এম আকরাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএন কামাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম প্রমুখ।